চীন সফরে শি ও কিমের বৈঠক

11
14

ডেস্ক রিপোর্ট

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত চার দিনের বেইজিংয়ে এক অনানুষ্ঠানিক সফর করেন। এ সময়ে উভয় নেতা বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল এ বৈঠক করেন। শি ও তার স্ত্রী পেং লিয়ুয়ান কিম ও তার স্ত্রী রি সোল জু’র সম্মানে একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করেন। এরপর তারা একসঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী ও সিপিসি’র (সেন্ট্রাল কমিটি অব দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না) কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটিক্যাল ব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সদস্য লি কেকিয়াং, সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটিক্যাল ব্যুরোর স্থায়ী কমিটি ও সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ওয়াং হানিং এবং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠককালে শি সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কিমকে চীনে তার প্রথম সফরের জন্য উষ্ণ অর্ভ্যত্থনা জানান। শি বলেন, সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও সিপিসির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন অফিসের জন্য ১৯তম সিপিসি জাতীয় কংগ্রেস তাকে পুনরায় নির্বাচিত করার পর কিম তাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। এ জন্য শি কিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শি বলেন, চীনে কিমের এই সফর দু’দেশ ও দুই দলের মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে। এই বিশেষ সময়ে সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

কিম বলেন, কমরেড শি জিনপিংয়ের প্রতি সিপিসি ও পুরো দেশের সমর্থন রয়েছে, যা তাকে দেশটির প্রধান নেতা বানিয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমেই তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট ও সিএমসি’র চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিম আরো বলেন, ডিপিআরকে-চীনের বন্ধুত্বের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ব্যক্তিগতভাবে শি’কে অভিনন্দন করা তার কর্তব্য। বর্তমানে কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি খুব দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে এবং ওই অঞ্চলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দুদেশের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ কয়েক প্রজন্ম ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তারা আত্মীয়ের মতো পরস্পরের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। শি বলেন, ‘এটা চলমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে ইতিহাস ও বাস্তবতার ভিত্তিতে উভয়পক্ষের জন্য একটি কৌশলগত সম্পর্ক এবং একমাত্র পথ।’

শি আরো বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিনের স্থিতিশীল সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। এর মাধ্যমে উভয় দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা হবে এবং আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে সহায়ক হবে।

Pic: EPA