নড়াইলের হুগলাডাঙ্গা খাল কচুরিপানা দখল করেছে খালটির ৪ কিঃমিঃ

0
14
নড়াইলের হুগলাডাঙ্গা খাল কচুরিপানা দখল করেছে খালটির ৪ কিঃমিঃ
নড়াইলের হুগলাডাঙ্গা খাল কচুরিপানা দখল করেছে খালটির ৪ কিঃমিঃ

স্টাফ রিপোর্টার

কচুরিপানা দখল করেছে নড়াইলের হুগলাডাঙ্গা খালটি। প্রায় ১০বছর ধরে খালটির প্রায় ৪ কিঃমিঃ জায়গায় কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় খালটি মানুষের তেমন কোনো কাজে আসছে না। খালের এই দুরাবস্থার জন্য এলাকার ৪-৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ মাছের ঘের থেকে মাছ এবং জমির ফসল কেটে বাড়িতে আনতে হিমসিম খাচ্ছেন। খালটির কচুরিপানা অপসারণে এলাকাবাসী নড়াইল-২ এর এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার সাথে করে তাদের দাবির কথা জানালে এমপি মাশরাফি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ খালটির বাস্তব অবস্থা দেখতে যান এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।

স্থানীয়রা জানান, সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হুগলাডাঙ্গা আড়ংখোলা থেকে ডুমদি হয়ে লাইনের খাল পর্যন্ত ৪কিঃমিটার কয়েক বছর সংস্কার না হওয়ায় খালের অধিকাংশ জায়গায় খালটি ভরাট হয়ে গেছে এবং কচুরিপানায় ঢাকা পড়ে গেছে। এ খালটি খনন হলে এলাকার কয়েক হাজার কৃষক ও মৎসজীবী তাদের ফসল ও ঘেরের মাছ ঘরে তুলতে পারবে এবং প্রাকৃতিক মাছের অভয়াশ্রম এ উন্মুক্ত খাল থেকে সাধারণ মানুষ মৎস আহরণ করতে পারবেন।
হুগলাডাঙ্গা গ্রামের বেগ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও মোছের ঘের ব্যবসায়ী ইকরামুল হক জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে খালের প্রায় ৪-৫কিঃমিঃ এলাকা কচুরিপানায় ভরে গেছে। এখন বোঝার উপায় নেই যে এখানে একটি খাল রয়েছে। প্রায় ৪শ জেলে পরিবার এ অঞ্চলে বসবাস করে। স্থানীয় বিলে কয়েক হাজার মৎস ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে যাওয়ার জন্য এবং প্রাকৃতিক মৎস আহরণের জন্য খালটির কচুরিপানা অপসারণ খুব জরুরি। এই যাতায়াতের অভাবে আমরা মাছের ন্যায্য মূল্য পাইনা।

একই গ্রামের কৃষক মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমি প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করি। জমিতে যেতে না পারায় ঠিকমতো ফসল আনতে পারিনা। আগে খালের মধ্য দিয়ে নৌকায় করে মাঠের ধান আনলেও এখন খালটি কচুরিপানায় ভরে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। খালটি খনন হলে সব সমস্যার সমাধান হতো বলে তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ফকির বলেন,বিষয়টির সমাধানের জন্য আমরা নড়াইল-২ আসনের এমপি মহোদয়ের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাস্তা ও খাল পরিদর্শন করতে এসে এ সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের আশ্বস্থ করেছেন। চেয়ারম্যান আরও বলেন, খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার ও খনন করা হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হতো।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, এ খালের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খালটি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে খননের সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।