নিরাপত্তাহীনতায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শুভ্র হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীরা

0
2
নিরাপত্তাহীনতায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শুভ্র হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীরা
নিরাপত্তাহীনতায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শুভ্র হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীরা

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-বাসায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় বর্তমানে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মামলার বাদী নিহত শুভ্র’র ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত ও সাক্ষী জাহাঙ্গীর আলম শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে হত্যা মামলার বাদী আবিদুর রহমান প্রান্ত বলেন- মঙ্গলবার (১৩) সেপ্টেম্বর) গৌরীপুর পৌর শহরে স্বর্ণ কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ছুিরকাঘাতে কলেজ ছাত্র মিঠুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুভ্র হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের কোন যোগসূত্রতা নেই। অথচ ঘটনার দিন রাতে শুভ্র হত্যা মামলার অন্যতম আসামী পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় মামলার আসামী তার দুই ভাই, আত্মীয়-স্বজনরা পরিকল্পিতভাবে মামলার বাদী-সাক্ষীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। এতে তাদের অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন- শুভ্র হত্যা মামলার চার্জশীট দেয়ার পরদিন ৬ মে মামলার বাদী প্রান্তকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা চালান সৈয়দ রফিকুল ইসলামের লোকজন। এ হামলার ঘটনায় তিনি গৌরীপুর থানায় নিয়মিত মামলা করেন। শুভ্র হত্যা মামলাটি বর্তমানে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় হবে। এ কারনে পরিকল্পিতভাবে মামলার বাদী ও সাক্ষীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসায় অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করানো হয়েছে। বর্তমানে মামলার বাদী-সাক্ষীকে নানাভাবে মুত্যুর হুমকীও দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য- ২০২০ সনের ১৭ অক্টোবর মাসুদুর রহমান শুভ্রকে গৌরীপুর পৌর শহরের পান মহালে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী গৌরীপুর পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও তার দুই ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।

এ বিষয়ে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান- মিঠুর হত্যাকারী ডেভিড রকি শুভ্র’র ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্তের লোক। ফেইসবুকে প্রান্তের সাথে রকির একাধিক ছবি রয়েছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হত্যাকারী রকি জাহাঙ্গীরের দোকানে বসা ছিল, তাই হত্যাকান্ডের পর উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার দোকানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনার দিন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার হাজিরা ও তারিখ থাকায় তিনি ও তাঁর ভাইয়েরা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের মন্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শুভ্র হত্যা মামলার বাদী আবিদুর রহমান প্রান্ত ও সাক্ষী জাহাঙ্গীর আলম।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান- মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।