দুই দফা নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন এমপি মাশরাফী

4
5
দুই দফা নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন এমপি মাশরাফী
দুই দফা নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন এমপি মাশরাফী

এসকে সুজয়

নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা রোববার জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন সমন্বয় সভা শেষ করে দুপুরে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় ঝটিকা পরিদর্শন করেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীর সাথে কথা বলেন তাদের খোঁজ খবর নেন। টয়েলটগুলোও পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য মাশরাফী।

পরে নার্সিং সুপারভাইজার (১০৭) রুমের সামনে আসলে নাজিয়া নামে এক মহিলা ও তার ছেলে এমপির কাছে বিচার চেয়ে বলেন, ভাত চাওয়ায় আমাকে শি/শু ওয়ার্ডের আয়া পারভীন নামে এক মহিলা মা/রছে। তিনি এমপির কাছে বিচারের দাবি জানান। এ বিষয়ে এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেন, এই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।

এদিকে , দির্ঘদিন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। শনিবার সকাল ৮টায় তিনি আধুনিক সদর হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের দেখতে পাননি। হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তত্বাবধায়কে।

হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা হাসপাতাল পরিদর্শন এসে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম, রোগীদের ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সময়মত হাজির না হওয়া। চিকিৎসক-কর্মচারিদের ছুটি না নিয়ে অফিসে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান তিনি। হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের না দেখে রোগীদের ওয়ার্ডে যান এসময় রোগীরা এমপিকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন।

চিকিৎসকরা ঠিকমত রোগীদের দেখেন না, গতরাতে হাসপাতালের মাত্র ৩জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মানতে নারাজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আসাদ উজ-জামান মুন্সী। মাশরাফী বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে হেরে যান তত্বাবধায়ক।

তত্বাবধায়ক ডাঃ আসাদ উজ-জামান মুন্সীর অনুমতি না নিয়ে বা কারো দরখাস্ততে তত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নেই অথচ তিনি ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি না মঞ্জুর করলেও ছুটি ভোগ করছেন কিভাবে?

এ বিষয়ে এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেন, হাসপাতাল গুলোতে বিভিন্নস্থান থেকে গরীব মানুষ আসে দুর-দুরান্ত থেকে। তাদের খাবার দেওয়া হয়না-অফিস করেন না ঠিক মত চিকিৎসকরা। আমার রোগীদের খাবার-ওষুধ পায়না এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হাসপাতালের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে বিকেলের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য মাশরাফী।

সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আসাদ-উজ-জামান মুন্সী বলেন, শনিবার সকাল ৯টার পরে আসায় ৮জন চিকিৎসক ও ২জন মেডিকেল প্যাথলজিষ্টকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে গত শুক্রবার রাতে ১৭জনের জায়গায় ৩জনকে খাবার দেওয়ায় ডায়েডের দায়িত্বে থাকা ১জন কর্মচারিকে শোকজ করা হয়েছে এবং এর সাথে জড়িত অভিযোগে আউটসোর্সিং-এর ১কর্মচারিকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।