নড়াইলের সিঙ্গাশোলপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিং/সতা, সংখ্যালঘুদের হু/মকি-ধ/মকির অভিযোগ

5
11
নড়াইলে অগ্নিকান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার

সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোঃ উজ্জল শেখের বিরু/দ্ধে এক ব্যবসায়ীকে পে/টানো, সংখ্যালঘুদের হু/মকি-ধ/মকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নব নির্বাচিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হিটু বলেন, উজ্জল শেখ শুক্রবার বিকেলে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এসে সিঙ্গা বাজারের নৌকার সমর্থক মুদি ব্যবসায়ী সানোয়ারের (৪০) দোকানে ঢুকে তাকে বে/ধড়ক পে/টায়। পরে সন্ধ্যায় হিন্দু অধ্যুষিত বড়গাতি গ্রামে প্রবেশ করলে মানুষ উজ্জ্বল বাহিনীর ভয়ে গ্রামের অনেক মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় উজ্জ্বল শেখ ভোট না দেওয়ার অভিযোগ এনে গা/লিগালা/জ করে ও ভয়-ভীতি দেখায়। শুনেছি এ সময় উজ্জ্বল বলে “আগে ছিলাম চেয়ারম্যান এখন হবো কসাই।” নির্বাচনের আগে উজ্জল এসব হিন্দু এলাকায় গিয়ে হু/মকি দিয়ে বলেছিলেন, যদি তাকে ভোট না দেওয়া হয় তাহলে হাত-পা কে/টে ফেলা হবে। শনিবার (১৩ নভেম্বর ) দুপুরে গোবরা বাজারের নৌকার কর্মী ভ্যান চালক লতিফ মোল্যাকে হু/মকি দেয় উজ্জ্বল। তিনি আরও বলেন, নলদীর চর এলাকার আশিক নামে নৌকার সমর্থক উজ্জ্বল চেয়ারম্যানের ভয়ে স্থানীয় গোবরা কেন্দ্রে এস.এসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে ভ/য় পাচ্ছে। এসব বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।

এস.এস.সি পরীক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখের ভয়ে দীর্ঘ এক বছরের বেশী বাড়িতে থাকতে পারিনা। সাবেক চেয়ারম্যানের ভয়ে স্থানীয় গোবরা কেন্দ্রে এস.এসসি পরীক্ষা দিতে ভ/য় পাচ্ছি। এসব অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল শেখকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি শওকত কবীর বলেন, হু/মকি-ধ/মকির বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি আমি দেখছি। তবে রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে বড়গাতি গ্রামে দু’পক্ষকে নিয়ে শান্তি-শৃংখলা ঠিক রাখতে শান্তি সমাবেশ করবো। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১নভেম্বর) ২য় ধাপে নড়াইল সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।