নড়াইলে ১৩টি ইউপি নির্বাচনে সহিং/সতা, ভাংচু/র, প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগ, আহত ৬

5
10
নির্বাচন
নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে ১৩টি ইউনিয়নে কয়েকটি কেন্দ্রে সহিং/সতা ও ধাওয়া পা/ল্টা-ধাওয়া, দোকান ভাংচু/র, প্রকা/শ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় ৬জন আহ/ত হবার খবর পাওয়া গেছে। ২য় ধাপে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সদর উপজেলার এসব ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আউড়িয়া ইউনিয়নের চৌগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ দু’জনকে আ’লীগ বিদ্রোহী আকরাম হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থকরা মারধর করলে দু’পক্ষের মধ্যে দু’দফা ধা/ওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আধা ঘন্টা ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২শ গজ পূর্বে একটি দোকানে মেম্বর প্রার্থী মশিউর রহমানের সমর্থকরা ভোটারদের ভোটার স্লিপ দেওয়ার সময় বেলা ১১টার দিকে অপর মেম্বর প্রার্থী হাবিবুর রহমানের লোকজন অ/তর্কিত হা/মলা চালালে মশিউরের সমর্থক সাবেক ইউপি মেম্বর হাদিয়ার শেখ (৬৫), তার পূত্র শাহীন শেখ (৩৫), বুকার শেখ (৫৫) ও সজিব শেখ (৩০) আহ/ত হয়। এ সময় ২০ মিনিট ভোট গ্রহন ব/ন্ধ ছিল। পরে পুলিশ,র‌্যাব এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বেলা ১১টার দিকে সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়গাতি এলাকায় আ’লীগ বিদ্রা/হী প্রার্থী উজ্জ্বল শেখের লোকজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করে। সদর থানার ওসি শওকত কবীর বলেন, সমস্ত ইউনিয়নেই উত্তেজনা ছিল। তবে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান।

জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়নে ১৩টি ইউনিয়নের ১১টিতেই আ’লীগের ১৫জন নেতা নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে নির্বাচন করেন। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ১’শ ৩১জন এবং সাধারন ওয়ার্ডে ৩৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।