নড়াইলে যৌ/তুকের মা/মলায় সাংবাদিক হা/জতে

5
25
নড়াইলে যৌ/তুকের মা/মলায় সাংবাদিক হা/জতে
নড়াইলে যৌ/তুকের মা/মলায় সাংবাদিক হা/জতে

স্টাফ রিপোর্টার

স্ত্রীর দয়েরকৃত যৌ/তুক আইনের মামলায় সাংবাদিক পরিচয়দানকারি মোঃ বাবর আলি বর্তমানে জেল হাজতে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক মোঃ বাবর আলির স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা খানম যৌ/তুক নিরোধ আইনের ২০১৮ সালের সংশোধনী ০৩ ধারায় কালিয়া আমলী আদালত, নড়াইলে গত ১৭ জুন বাবর আলির বিরু/দ্ধে একটি মাম/লা (নং সিআর-৫৯/২১) দায়ের করেন। বাবর আলি উক্ত মামলায় জামিনের জন্য গত ২৮ অক্টোবর আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন না ম/ঞ্জুর করে তাকে জেল হাজ/তে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার জয়পুর বর্তমান বাহিরডাঙ্গা গ্রামের মোঃ তারা মিয়া মোল্যার ছেলে মোঃ বাবর আলি (২৭) এর সাথে একই গ্রামের মোঃ রবিউল শিকদারের মেয়ে মোসাঃ খাদিজা খানম (২৩) এর গত ২০১৬ সালের ১১ জুন বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দা/ম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তানের বর্তমান বয়স ৪ বছর। বিয়ের সময় আসা/মি বাবর আলি তার শ্বশুর রবিউল শিকদারকে চাপ প্রয়োগ করে ২ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র গ্রহন করেন। এছাড়া কন্যার পিতাকে চাপ দিয়ে তিনি প্রায়ই নগদ টাকা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র গ্রহন করেছেন। এরপর আরও ১ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা খানমকে স্বামী বাবর আলি, শ্ব/শুর মোঃ তারা মিয়া এবং শ্বাশুড়ি মোসাঃ আসমা বেগম একত্রে চাপ দিতে থাকে। স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা খানম তার পিতা রবিউল শিকদারের এত টাকা দেওয়ার মত সামর্থ নেই বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী বাবর আলি, এবং তার বাবা মোঃ তারা মিয়া ও মা মোসাঃ আসমা বেগম সকলে মিলে বাবরের স্ত্রী খাদিজাকে মা/রপি/ট ও মানষিক নি/র্যা/তন করতে থাকে। এক পর্যায়ে (সম্প্রতি) খাদিজা খানমকে তার কন্যাসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বাবর আলি।

নিরুপায় হয়ে মোসাঃ খাদিজা খানম কন্যাসহ পিত্রালয়ে চলে আসেন। পরবর্তিতে (গত ১১ জুন) স্বামী বাবর আলি এবং তার বাবা মোঃ তারা মিয়া ও মা মোসাঃ আসমা বেগম মিমাংসার জন্য খাদিজা খানমের পিত্রালয়ে আসেন এবং পুনরায় ১ লাখ টাকা দাবি করে অন্যথায় স্ত্রী খাদিজা খানমকে নিয়ে সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করে চলে যান।

মামলার বাদি খাদিজা খানম আরও অভিযোগ করেন যে, স্বামী বাবর আলি ও তার বাবা-মা নারী নির্যাতনকারি, যৌ/তুক লো/ভি এবং স্বামী বাবর আলি বহু বিবাহ বা/তিকগ্রস্ত। খাদিজা খানম, তার পিতা রবিউল শিকদার ও অন্যান্য ব্যক্তিবৃন্দ বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্বামী মোঃ বাবর আলি (২৭), শ্বশুর মোঃ তারা মিয়া মোল্যা (৬৫) এবং শ্বাশুড়ি মোসাঃ আসমা বেগম (৫৫)কে আসা/মি করে সুবিচার চেয়ে স্ত্রী খাদিজা খানম এ মামলা করেছেন। উল্লেখ্য, মোঃ বাবর আলি বিভিন্ন যায়গায় নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।