নড়াইলে বিএনপির ৭টি ইউনিট গঠনকে কেন্দ্র করে অর্ন্তকোন্দল 

543
14
নড়াইল জেলা বিএনপির হালচাল, মেয়াদো*ত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে জেলা বিএনপি
নড়াইল জেলা বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে বিএনপিতে অর্ন্তকোন্দল চরমে। গত ১৮মে জেলার ৪টি থানা ও ৩টি পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৩জুন) নড়াইল জেলা, থানা ও পৌর বিএনপির বিক্ষুব্ধ অংশ নড়াইল প্রেসক্লাবে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গঠিত এ কমিটিকে অগঠনতান্ত্রিক এবং অবৈধ বলে দাবি করা হয়েছে। এর পূর্বে গত ২২মে কালিয়া থানা ও পৌর বিএনপির পদবঞ্চিতরা এ কমিটিকে অবৈধ বলে বলে দাবি করে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কালিয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ১৬৪ সদস্য বিশিষ্ট নড়াইল জেলা বিএনপির দুই বছর মেয়াদী কমিটি ঘোষিত হয়। এ কমিটিতে সভাপতি পদে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে মনোনীত করা হয়।

কালিয়া পৌর বিএনপির বিগত কমিটির আহবায়ক ওমর ফারুকসহ একাধিক নেতা অভিযোগে বলেন, গত ১৮মে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিকভাবে এবং ঘরে বসে পকেট কমিটি গঠন করে সাতটি ইউনিটের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করা হয়। নব গঠিত পৌর বিএনপির আহবায়ক সেলিম হোসেন ঢাকায় নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের নিজস্ব মেডিকেল সেন্টারে চাকুরি করেন এবং সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনা ইতোপূর্বে বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন না।

নড়াইল পৌর বিএনপির বিগত কমিটির আহবায়ক রেজাউল খবির রেজা বলেন, বছরের পর বছর জেলা বিএনপির কার্যালয় খোলা হয় না। বর্তমান কমিটি হবার পর কেন্দ্র ঘোষিত কোনো কর্মসূচি নিয়ে তারা রাজপথে নামেনি। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে একটি রায়ের প্রতিবাদে কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নতুন কমিটিতে পূনরায় মনোনীত হবার জন্য তারা পকেট কমিটি তৈরি করেছে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র ভাইচ-চেয়ারম্যান,নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সিনিয়র নেতাদের না জানিয়ে ঘরের মধ্যে বসে এ পকেটি কমিটি করেছে। পরীক্ষীত নেতা-কর্মীরা কমিটিতে স্থান পায়নি। তারা পার্টি অফিসও খোলেনা, কোনো কার্যক্রমেও অংশগ্রহন করেন না। সর্বশেষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী আমরা পালন করলেও বর্তমান সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের গ্রুপ করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কর্মসূচি দলীয় কার্যালয়ে প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় আমার বাসা এবং ভার্চুয়াল মিটিং করা হয়। করোনার মধ্যেও দলকে সচল রাখতে সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে বসাবসি ও মতামত নিয়ে ৭টি ইউনিটের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের ঘোষণা করা হয়েছে। যারা এর বিরোধিতা করছেন তারা দলের এই সংকটকালীন সময়ে ক’জনের খোঁজ-খবর নিয়েছেন তা সবাই জানে।