মিয়ানমার সেনার রোহিঙ্গা নিধ*ন স্বীকারোক্তি

368
24
মিয়ানমারের সেনার রোহিঙ্গা নিধ*ন স্বীকারোক্তি
মিয়ানমারের সেনার রোহিঙ্গা নিধ*ন স্বীকারোক্তি

নিউজ ডেস্ক

২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহ*ত্যা, ধ*র্ষণ এবং তাদের বাড়ি-ঘরে অ*গ্নিসংযো*গের ঘটনা স্বীকার করেছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে পালি*য়ে যাওয়া দুই সৈনিক। তারা নিজেদের ব্যাটালিয়ন, কমা’ন্ডিং অফিসারের পরিচয় দিয়েছেন। একই সঙ্গে নিজেদের নানা অ*পরা*ধের ঘটনাও বর্ণনা করেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ দুই সৈনিক।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস এবং কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন-সিবিসি ও একটি মানবাধিকার সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সৈনিক পরিচয় দেয়া দুই ব্যক্তি এখন নেদারল্যান্ডসের হেগে রয়েছেন। গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদেরকে মিয়ানমারের বিরু*দ্ধে রোহিঙ্গা গণহ*ত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে আন্তর্জাতিক অ*পরাধ আদালতে হাজির করা হতে পারে।

৩০ বছরের জাও নাইং তুন এবং ৩৩ বছরের মিও উইন তুনকে প্রথম দেখা যায় মিয়ানমারের সশ*স্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ইউটিউব চ্যানেলে । এ বছরের ২২ মে এই দুইজনসহ মোট চারজনকে দেখা যায় মিয়ানমার আর্মির পোশাক পরে বসে থাকতে। চারজনই দাবি করেন, নানা নি*র্যাত*নের শি*কার হয়ে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে পালি*য়েছেন।

তবে, কীভাবে এবং কার তত্ত্বাবধায়নে তারা হেগে পৌঁছালো-বিষয়গুলো নিশ্চিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এই দুই সেনা সদস্য আরকান আর্মির হাতে ব*ন্দি হয়েছিলেন বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে খিন থু খা নামের আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র বলেন, দুই ব্যক্তিকে সেনা বাহিনী থেকে বা*দ দেয়া হয়, তাদের যু*দ্ধব*ন্দি হিসেবে আটক করা হয়নি। তবে তারা এখন কোথায় আছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

২০১৭ সালে একটি পুলিশ চৌকিতে হাম*লার জে’রে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গ*ণহ*ত্যা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরু*দ্ধে।
সেই সময় বাংলাদেশে পা*লিয়ে আসেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কর্তৃক হ*ত্যা, ধ*র্ষণ, বাড়িঘরে অ*গ্নিকা*ণ্ডের হাত থেকে পালি*য়ে বাঁ*চতে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিক থেকে পরবর্তী কয়েক মাস ধরে প্রায় দশ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এর আগে ৭০’র দশক থেকে শুরু করে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নানা সময়ে পা*লিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবে সবচেয়ে বড় ঢল ছিল ২০১৭ সালে। কক্সবাজারের উখিয়াতে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির বিশ্বের সবচাইতে বড় শরণার্থী শিবির। উখিয়াতে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও ছা’ড়িয়ে গেছে।

গত বছরের ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত আইসিজিতে মিয়ানমারের বিরু*দ্ধে গণহ*ত্যার অভিযোগে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহ*ত্যা, ধর্ষ*ণ এবং সাম্প্রদায়িক নি*ধন চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। পরে মিয়ানমারের বিরু*দ্ধে রোহিঙ্গা গণহ*ত্যা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস- আইসিজে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানিতে দেশের হয়ে ল*ড়তে নেদারল্যান্ডসের হেগে যান মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। সেই বিচারকাজ এখনো চলছে।