নড়াইলের লোহাগড়ায় অ*ন্তঃস*ত্ত্বা স্ত্রীকে নি*র্যাতন করে বাড়ি থেকে বে*র করে দিয়েছে স্বামী!

9
231
নড়াইলের লোহাগড়ায় অ*ন্তঃস*ত্ত্বা স্ত্রীকে নি*র্যাতন করে বাড়ি থেকে বে*র করে দিয়েছে স্বামী!
নড়াইলের লোহাগড়ায় অ*ন্তঃস*ত্ত্বা স্ত্রীকে নি*র্যাতন করে বাড়ি থেকে বে*র করে দিয়েছে স্বামী!

স্টাফ রিপোর্টার

আট মাসের অ*ন্তঃস*ত্ত্বা স্ত্রী ইতি খানমকে (২০) স্বামী নি*র্যাতন করে বাড়ি থেকে বে*র করে দিয়েছে। রাস্তায় অ*জ্ঞান হয়ে প*ড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধা*র করে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। গত পাঁচদিনে হাসপাতালে থাকলেও স্বজনেরা তাকে দেখতে আসেনি।

জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে হারুন অর রশিদের মেয়ে এবং ইতি খানমের সাথে একই গ্রামের মামাতো ভাই তিতাস কাজীর প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তিতাস কাজী সিরাজগঞ্জে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগে তিতাস কাজীর তিনটি বি*য়ে ছিল। নি*র্যাতনের শি*কার হয়ে দুই স্ত্রী বাড়ি ছে*ড়ে চলে যায়, অপর স্ত্রী মা*রা যায়।

ইতির পরিবার জানায়, প্রায় এক বছর ধরে ইতিকে তার স্বামী প্রায়ই নি*র্যাতন করে। গত ১ জুন তা*লাক দেওয়ার জন্য তার স্বামী বাড়িতে ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারকে ডেকে নেয়। তালা*কে স্বাক্ষর না করায় সারাদিন মা*রধ*র করে বিকেলে বাড়ি থেকে বের করে দিলে পার্শ্ববর্তী আতশপাড়া নামক স্থানে পৌচ্ছে জ্ঞা*ন হা*রিয়ে রাস্তার পাশে প*ড়ে থাকে।

স্থানীয় লোকজন এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে আবগত করেন। পরে লোহাগড়া থানা পুলিশ সন্ধ্যায় তাকে উ*দ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রভা*বশালী হওয়ায় দুই বছর আগে চা*প সৃষ্টি করে তাকে বিয়ে করে।

ইতির পিতা হারুন অর রশিদ জানান, তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুবই খা*রাপ। হাসপাতালে দেখতে গেলে এবং খোঁজ-খবর নিলে আমাদের ওপর চা*প দেবে যা স*হ্য করার ক্ষ*মতা আমাদের নেই। তাই মেয়েটির খোঁজ নিতে যায়নি।

হাসপাতালে ভর্তি ইতি খানম বলেন, আমি এখন আট মাসের অ*ন্তঃস*ত্ত্বা। আমার বাবার বাড়ি থেকে তাকে তা*লাক দিতে বলে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় বাবার বাড়ি থেকে আমার খোঁজ নিচ্ছে না। শ্বশুর বাড়ি থেকেও তা*লাক দিতে চায়। কিন্তু আমি স্বামীর সংসার করতে চাই। হাসপাতালে আসার পর আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন আমার খোঁজ নেয়নি। আমি এখন কোথায় আশ্রয় পাবো?

এ ব্যাপারে স্বামী তিতাস কাজীর মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পা*লিয়েছে।