আ*ত্মগোপনে পরিবার, নড়াইলের কালিয়ায় মৃ*তের লা*শ কাঁধে নিলেন ইউএনও, সাংবাদিক

335
113
আ*ত্মগোপনে পরিবার, নড়াইলের কালিয়ায় মৃ*তের লা*শ কাঁধে নিলেন ইউএনও, সাংবাদিক
আ*ত্মগোপনে পরিবার, নড়াইলের কালিয়ায় মৃ*তের লা*শ কাঁধে নিলেন ইউএনও, সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার

করোনা উপসর্গে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর (৫০) মৃ*ত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ মে) গভীর রাতে মা*রা যান তিনি। যদিও তার পাশে ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। ঘরের মধ্যে তার মৃ*তদে*হ রেখে আ*ত্মগোপনে যান স্ত্রী ও সন্তানসহ আ*ত্মীয়-স্বজনেরা।

এ পরিস্থিতিতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুদা নিজেই ঘর থেকে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর লা*শ বের করেন, চি*তায় উঠান এবং সৎ*কারের ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় গেল পারিবারিক বন্ধন।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়ার বড়দিয়া গ্রামের নির্মল রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন। ঢাকা থেকে কা*শিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দু’দিন আগে বাড়িতে আসেন।

এরপর আলাদা রাখা হয় বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীকে। শনিবার রাতে তিনি মা*রা যান। রোববার সকালে বাড়ির লোকজন তার মৃ*ত্যুর বিষয়টি টের পেলে কেউ কাছে যায়নি। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক কালিয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ফসিয়ার রহমান জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই (বিশ্বজিৎ) বাড়িতে পৌঁছান তিনি। এ সময় কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তারা জানতে পারেন বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর মৃ*তদে*হ ঘরের মধ্যেই পড়ে আছে। পরিবারের লোকজন কেউ কাছে যাচ্ছেন না। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার (বিশ্বজিৎ) স্ত্রী ও সন্তানের দেখা পাননি তারা। একপর্যায়ে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুদা মৃ*ত ব্যক্তির ঘরে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিলেন কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে*ক্সের চিকিৎসক কাজল মল্লিকসহ সাংবাদিক ফসিয়ার রহমান।

এ সময় মৃ*ত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর কাঁধে করে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর ম*রদে*হ ঘর থেকে বের করেন ইউএনও নাজমুল হুদাসহ ওই সাংবাদিক। এ কাজে সহযোগিতা করেন মৃ*ত বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর দূরসম্পর্কের এক নাতি ও সৎ*কারের জন্য ইউএনও’র উদ্যোগে আসা কালিয়ার মন্টু বৈরাগি। ভ্যানযোগে শ্ম*শানে আনার পর মৃ*তব্যক্তিকে চি*তায়ও তোলেন ইউএনও।

সাংবাদিক ফসিয়ার রহমান বলেন, আ*ত্মগোপনে থাকার অনেক পরে মৃ*ত বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর ছেলে এগিয়ে আসেন। তার বাবাকে দা*হ করার সময় ছেলেটি উপস্থিত থাকলেও কোনো আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিরা ছিলেন না। তার স্ত্রী ও অন্য সন্তানেরও (মেয়ে) দেখা পাওয়া যায়নি। রোববার দুপুরে চোরখালি শ্ম*শানে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীকে দা*হ করা হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, পরিবারের কেউ এগিয়ে না আসায় নিজে কাঁধে করে মৃ*ত বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর সৎ*কারের ব্যবস্থা করেছেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন সাংবাদিক ফসিয়ার রহমানসহ তিনজন। এছাড়া বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।