সাব্বিরের সেঞ্চুরি দিয়েও ব্লাকওয়াশ এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ

9
13

স্পোর্টস ডেস্ক

গত দুই ওয়ান ডে ম্যাচ হেরেছিল ৮ উইকেটে। আজ পরে ব্যাটিং করেও নিউ জিল্যান্ডের বোলিং তাণ্ডবে জ্বলে উঠতে পারেনি টাইগাররা। স্বাগতিকদের কাছে ৮৮ রানে হেরে ব্লাকওয়াশের বোঝা ঘাড়ে নিতে হলো সফরকারী বাংলাদেশের। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিউ জিল্যান্ডের ডুনেডিনে টস জিতে পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। শুরুতেই বল হাতে কিউইদের উইকেটে আঘাত আনেন অধিনায়ক মাশরাফী। কলিন মুনরোকে লেগ বিফোর উইকেটে সাজঘরে পাঠান দলনেতা। তখনও গাপটিল ক্রিজে। ব্লাকক্যাপদের দলীয় ৫৯ রানের সময় সাইফুদ্দিন গাপটিলের উইকেটটি নিলে কিছুটা আশা বুকে নিয়ে এগোতে থাকে বাংলাদেশ।

কিন্তু এরপর আর ব্লাকক্যাপদের আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১৫১ রানের সময় মিরাজ নিকোলসকে আউট করেন। ৭টি চারে ৭৪ বলে ৬৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। নিকোলস ও টেইলরের ৯২ রানের জুটি ভাঙলে টেইলরের সহযোগী হন অধিনায়ক লাথাম। দলীয় ২০৬ রানের সময় টেইলরের উইকেটটি নেন রুবেল। ৭ চারে ৮২ বলে ৬৯ রান করে রেকর্ড করেন রস টেইলর। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে সব থেকে বেশি রান (৮০২৬*) তার দখলে। এরই সাথে কিউইদের প্রাক্তন দলনেতা স্টিফেন ফ্লেমিং (৮০০৭) দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে। অধিনায়ক লাথামের সাথে নিশামের ৬৫ রানের পার্টনারশিপে এগিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ২৪ বলে ৩৭ রানের মারমুখী এক ইনিংস খেলেন নিশাম।

মুস্তাফিজের বলে নিশাম বোল্ড হলে গ্রান্ডহোমি ক্রিজে আসেন। দলীয় ২৮৪ রানের সময় লাথামের উইকেটটি নেন ফিজ। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৫১ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। এরপর আর কোন উইকেট পরেনি কিউইদের। গ্রান্ডহোমি-স্যান্টনার শেষ ২১ বলে ৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। ২টি ছক্কা ৯ ৪ চারে ১৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্রান্ডহোমি। ক্রিজে স্যান্টনার ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। সব থেকে বেশি রানও খরচ করেন তিনি। ১০ ওভারে ৯৩ রান দেন ফিজ। মাশরাফী, রুবেল, মিরাজ ও সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন। তিন জনের অর্ধশতক ও দুজনের ঝড়ো ইনিংসে ৫০ ওভারে ৩৩০ করে নিউ জিল্যান্ড।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে সাউদির বোলিং এ বিধ্বস্ত হয় বাংলার টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। দলের ২ রানে ৩ উইকেট পড়লে মুশফিক- মাহমুদুল্লাহর ৩৮ রানের জুটিতে কিছুটা সম্মান রক্ষা হয়। তবে  ৬১ রানে ৫ উইকেট খোয়াতে হয় বাংলাদেশের। ধাক্কা সামলিয়ে  সাব্বির-সাইফুদ্দিনের পার্টনারশিপে এগোতে থাকে দেশ। ১০১ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। সাইফউদ্দিনকে ৪৪ রানে থামিয়ে দেন নিউ জিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

১০০ রানের আগে ৫/৬ উইকেট হারানো ম্যাচ হারের প্রধান কারন টাইগারদের। এ অবস্থায় ধাক্কা সামলিয়ে উঠেন সাব্বির রহমান ও সাইফউদ্দিন। দেখেশুনে খেলে উইকেটে দ্রুতই সেট হয়ে যান তারা। এরপর সাবলীলভাবেই রান তোলার কাজটি করছিলেন তারা। তাই শসাইফউদ্দিনের বিদায়ের পর উইকেটে গিয়ে ২ রানের আউট হন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি। এরপর সাব্বিরকে সঙ্গ দেন মিরাজ। দলে ৬৭ রান যোগ করেন দুজন। ৪৬তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত সেঞ্চুরি করেন সাব্বির। ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন মিরাজ। এরপর খুব দ্রুতই ২ উইকেটের পতন ঘটে। ৪৭.২ ওভারে ২৪২ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সাব্বির। ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১০ বলে ১০২ রান করেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬৫ রানে ৬ উইকেট নেন সাউদি। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। সিরিজ সেরা হন নিউজিল্যান্ডের গাপটিল।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড এর তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।

স্কোরকার্ডঃ

http://www.espncricinfo.com/series/18805/scorecard/1153846/new-zealand-vs-bangladesh-3rd-odi-bangladesh-in-nz-2018-19