কৌশিক ভাই, আমার হাতটা একটু ধরে যান!

3
93

এমএসএ

গতকাল বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ছিল মাশরাফীর নির্বাচনী প্রচারণার চতুর্থ দিন। ঢাকা থেকে ফিরে টানা চারদিন দিন-রাত এক করে নিরলসভাবে ছুটে চলেছেন মানুষের সাথে দেখা করতে। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে নড়াইল ২ আসনে লড়ছেন মাশরাফী। খেলার কারণে এলাকায় আসতে জাতীয় দলের অধিনায়কের কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে তার জন্য নড়াইলবাসীর প্রতিক্ষার প্রহর গুনতে হয়নি। ঠিকই চলে এসেছেন নিজ মাটিতে। অন্য রূপে। তার আগমনে নড়াইলবাসীর উচ্ছাস-আনন্দ দেখে কে? রাস্তার দুধারে গাছের সারির মত মানুষ আর মানুষ। নির্বাচন বলে না, শুধু তাকে একনজর দেখার জন্য মানুষের ভিড়। নড়াইলের মর্যাদা কত উঁচুতে নিয়েছে সে, তাকে একবার বুকে জড়িয়ে নিবে না তা কি করে হয়? একটিবার তার স্পর্শ নিতে তার আরোহীত মোটরসাইকেলের সাথে দৌড় পাল্লা দিচ্ছে ৫ বছরের শিশু থেকে শুরু করে যুবকের দল। কাছে পাওয়ার পর বুকে জড়িয়ে ধরছে।

বুধবার (২৬ডিসেম্বর) দিনভর সদর উপজেলার কমলাপুর, রতডাঙ্গা, এড়েন্দা, দত্তপাড়া, তালতলা, চালিতাতলা বাজার, বাঁশগ্রাম বাজার, আউড়িয়া বাজার, মুলিয়া বাজার, তুলারামপুর বাজার, চাঁচড়ার মোড় এবং পেড়লি গ্রামে গণসংযোগ এবং নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখেন মাশরাফী। পথিমধ্যে যে হাত বাড়িয়ে দেয়, তার হাত স্পর্শ করেন মাশরাফী। সেদিন চণ্ডীবরপুর এলাকা থেকে মাশরাফীকে পেছনে নিয়ে বাইকে এগোতে থাকে তার ভাই মোরসালীন। এরই মধ্যে নাছোড়বান্দা একঝাঁক শিশুর দল হামলা করে মাশরাফীর ওপর। না, এটা সেই হামলা না। একটি বার তাকে সরল মনে স্পর্শ করার হামলা। মাশরাফী কি পারেন তাদের সরল মনে কষ্ট দিতে। ঝুঁকি নিয়ে বাইকের ওপর থেকে সহজে তাদের হাত ছাড়ছিলেন না নেতা। চলন্ত অবস্থায় ভাবছিলেন যদি তারা ব্যাথা পায়। এরপর ধীরে ধীরে নিরাপদে তাদের স্পর্শ ছেড়ে এগোতে থাকেন। কারো মনে কষ্ট দেয়ার মত মানুষ তিনি না। হয়তো এজন্যই এই জনঢল৷ হয়তো একারণেই নড়াইলের বাচ্চা বাচ্চা তাকে অজান্তে ভালোবাসে। ছুটে গিয়ে হাত বাড়িয়ে বলে, “ভাই আমার হাতটি ধরবেন? / ভাই, আমার হাতটা একটু ধরে যান!” তারা হয়তো বিশ্বাস করে, পারলে মাশরাফী বুকে জড়িয়ে নিত।